সায়মা ওয়াজেদ পুতুল
August 11, 2024
পরিচয়
দুর্নীতি ও লুটপাটে পিছিয়ে ছিলেন না ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। কানাডার পাসপোর্টধারী পুতুল ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে জোরপূর্বক উপঢৌকন আদায় এবং অর্থ আত্মসাত করতেন তিনি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় অটিস্টিক সেলকে ব্যবহার করে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাত করেছেন পুতুল। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওপর অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে ফাউন্ডেশনের নামে প্রাপ্য অর্থও করমুক্ত করিয়ে নেন।
ব্যাংক লুটের ভাগ পেতেন পুতুল
ব্যাংক লুটের টাকার ভাগও পেতেন শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। তার প্রতিষ্ঠিত নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাবে এসব অর্থ পাঠানো হত। হাসিনা সরকারের মেয়াদে ব্যাংক দখল করে যারা অর্থ লুটপাট করেছে তাদের মধ্যে এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, পি কে হালদার সূচনা ফাউন্ডেশনে টাকার জোগান দিয়েছে। এস আলমের দখলে থাকা ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক থেকেও সিএসআরের (সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল) টাকা গেছে এই ফাউন্ডেশনের হিসাবে। এর বাইরে আরও কয়েকটি বড় গ্রুপ থেকেও টাকার জোগান দেওয়া হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক লুটের দায়ে অভিযুক্ত পি কে হালদারও সূচনা ফাউন্ডেশনে টাকা দিয়েছেন
[পত্রিকা কাটিং ]
উৎস
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ পেতে জালিয়াতি
স্বনামধন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক জার্নাল ল্যানসেটের ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের একটি সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে পুতুলের প্রার্থীতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তারা অভিযোগ করেছিল, পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হওয়ার যোগ্য না। কিন্তু স্বজনপ্রীতির কারণে তিনি মনোনয়ন পেয়েছেন। এমন স্বজনপ্রীতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করবে। কারণ প্রার্থী ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদের জন্য সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সাথে আরেকজন প্রার্থী ছিলেন নেপালের সম্ভু আচার্য। মি. আচার্য ছিলেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, যিনি ৩০ বছর যাবৎ সেখানে কাজ করছেন। এছাড়া জনস্বাস্থ্যের ওপর তার পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে।
[পত্রিকা কাটিং ]
দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড়
বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাজউকের প্লট বরাদ্দ নেওয়ার পাশপাশি আশ্রয়ণ, বেজা ও বেপজার আটটি প্রকল্পে ২১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্র প্রকল্পে ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিসহ হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ আছে পুতুল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এছাড়া পুতুলের স্বামী, শ্বশুর ও চাচা শ্বশুররাও দখলদারি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনে পিছিয়ে ছিল না।
[পত্রিকা কাটিং ]