স্বৈরাচারের ডায়রি

হাসিনার বাণী

August 11, 2024

খালেদা বিষয়ে

গুলশানে যেখানে ছিলো, সেখানে গেছি। আমাকে মুখের সামনে তালা মেরে দিলো, আমাকে ঢুকতে দিলো না। কতো বড় অপমান আপনারা চিন্তা করেন। আজকে অন্যকোনো প্রধানমন্ত্রী হলে কী করতো? কী করতো আপনারা চিন্তা করেন।
⎯⎯ হাসিনা, ৩ অক্টোবর ২০২৩
আমাকে ঢুকতে দিলো না। আমি শুধু বললাম, আজকে আমাকে ঢুকতে দাও না, যখন জিয়াউর রহমান ঘরে তুলতে চায়নি প্রতিদিন আমাদের বাসায় গিয়ে কান্নাকাটি করতা। আমার বাবার বদৌলতে তুমি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে পেরেছো। না হলে বহু আগেই জিয়া ছেড়ে দিয়েছিল। জিয়ার আবার নতুন গার্লফ্রেন্ডও ছিল। তাকেও সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। তার সংসারটা রক্ষা করে দিয়েছিলো আমার বাবা। আমাদের বাসায় গিয়ে তো মোড়া পেতে বসে থাকতো। সেখানে আমাকে ঢুকতে না দিয়ে কতোবড় অপমান করেছো।
⎯⎯ হাসিনা, ৩ অক্টোবর ২০২৩
রেহানা, আপনারা জানেন সে একটা ব্যক্তিত্ব নিয়ে চলে, পুলিশ ফাঁড়ি যখন করেছে সে বলে ঠিক আছে ওটা পুলিশকেই দিয়ে দিলাম। সে আর ওই বাড়ি নেয় নাই।
⎯⎯ হাসিনা, ৩ অক্টোবর ২০২৩
ক্যান্টনমেন্টের রাস্তায় হাঁটলাম কেন! আামার সঙ্গে যারা ছিলো সবার বিরুদ্ধে মামলা দিলো। আমার বাবা দেশ স্বাধীন করেছিল বলেই না এই ক্যান্টনমেন্ট, আর মেজর জিয়া। আরে এই মেজর পদন্নতিটা তো আমার বাপেরই দেয়া ছিল। আর আমি ক্যান্টনমেন্টে ঢুকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা…। সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, ওই ক্যান্টনমেন্টে আর বসবাস করা লাগবে না। যেদিন সুযোগ পাবো বের করে দেবো। বের করে দিছি।
⎯⎯ হাসিনা, ৩ অক্টোবর ২০২৩
রোজই শুনি এই মরে মরে, এই যায় যায়। বয়সতো ৮০’র উপরে । …সময় হয়ে গেছে। তার মধ্যে অসুস্থ। এখানে এতো কান্নাকাটি করে লাভ নাই
⎯⎯ হাসিনা, ৩ অক্টোবর ২০২৩

সরকারের টাকা

এই সেতু সম্পূর্ণ সরকারের টাকায় নির্মাণ করেছি।
⎯⎯ হাসিনা, ৮ মে ২০২২
সায়ত্বশাসন আছে সত্যি, কিন্ত টাকা দিচ্ছে কারা? টাকা তো সরকার দিচ্ছে। সরকারের দেওয়া টাকা ইউজিসিতে যায়, সেখান থেকে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে সমস্ত শিক্ষকদের বেতন, ভাতা, সবকিছু তারা পাচ্ছেন। একজন শিক্ষার্থী ইউনিভার্সিটিতে কয় টাকা খরচ করে? মাসে বড়জোড় দেড়শ টাকা খরচ করে। এই টাকায় কি উচ্চশিক্ষা হয়? .... সে টাকা কে জোগান দেয়? টাকা জোগান দেয় সরকার। ... পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নাকি আমরা বুঝি না। .... অর্থ দেবে সরকার, সব রকম উন্নয়ন প্রকল্প সরকার করবে। সেটা নিতে খুব ভালো লাগবে আর সরকার সেখানে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না- এটা কখনও হতে পারে না। ... নিজেদের খরচ নিজেরা চালাবে। সরকার সব টাকা বন্ধ করে দেবে। কারন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, টাকা পাবলিক দেবে, সরকার কেন খরচ করবে?
⎯⎯ হাসিনা, ৯ নভেম্বর ২০১৯
ঢাকার বস্তিবাসী যদি নিজ গ্রামে ফিরে যান তাহলে তাদের সরকারের টাকায় ঘর করে দেয়া, খাবারের ব্যবস্থা এবং টাকা-পয়সা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়
⎯⎯ হাসিনা, ১ নভেম্বর ২০২o
আমার ছোটবোন, ও আমাকে বললো যে, তুমি ১৬ কোটি মানুষকে ভাত খাওয়াও। তুমি কি আর কয়েকলক্ষ লোককে খাবার দিতে পারবা না? এটা আমার ছোটবোন রেহানা, ওরই কথা
⎯⎯ হাসিনা

মাইন্ড করা

আমাকে বেশি কথা বললে সব বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকব। ইলেকশনের পরে, যদি আসতে পারি, আবার করব। তারপর দেখি কে সাহস পায় নিতে...ক্ষমতা।
⎯⎯ হাসিনা, ০৬ অক্টোবর ২০২৩
সব গুছিয়ে দেওয়ার পরে এখন ইলেকশনের কথা, ভোটের কথা, অর্থনীতির কথা, পাকা পাকা কথা শুনতে হয়। আমি তো শুনতে রাজি না।
⎯⎯ হাসিনা, ০৬ অক্টোবর ২০২৩
বিদ্যুৎমন্ত্রীকে বলেছিলাম, প্রতিদিন যেন কিছুটা লোডশেডিং দেয়, তাহলে মানুষের মনে থাকবে যে লোডশেডিং আছে। পয়সা দিয়ে তেল কিনে জেনারেটর চালাতে হবে। তখন আবার আক্কেলটা ঠিক হবে যে এই অবস্থা তো ছিল। এখন তো আমরা করে দিচ্ছি, ভর্তুকি দিচ্ছি। কেন আমি ভর্তুকি দেব?
⎯⎯ হাসিনা, ০৬ অক্টোবর ২০২৩

সব হারিয়েছি

স্কুলজীবন থেকে মিছিল করা শুরু করেছি। এ পর্যন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। মা, বাবা, ভাই, বোন—সব হারিয়েছি। হারাবারও কিছু নাই। আমি এখানে কিছু পেতে আসিনি, নিতেও আসিনি।
⎯⎯ হাসিনা, ০৬ অক্টোবর ২০২৩

রিজার্ভ

২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি, তার আগে তো অনেক আঁতেল ক্ষমতায় ছিল। জ্ঞানীগুণীরা ছিল। রিজার্ভ কত ছিল? রিজার্ভ কত ছিল তখন? এক বিলিয়নও ছিল না! জিরো পয়েন্ট সেভেন সেভেন মিলিয়ন ছিল। আমি যখন ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করি, রিজার্ভ কত ছিল। বোধ হয় আড়াই মিলিয়ন, নট বিলিয়ন, ইভেন বিলিয়নের ধারেকাছেও নাই। যেটুকু বেড়েছে, আমাদের সরকারের সময় করেছি।
⎯⎯ হাসিনা, ০৬ অক্টোবর ২০২৩
রিজার্ভ নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। যদি এত বেশি কথা হয়...যখন সরকার গঠন করেছিলাম, তখন যত ছিল, ওইখানে এনে রেখে আবার ইলেকশন করব।
⎯⎯ হাসিনা, ০৬ অক্টোবর ২০২৩

নির্বাচন

জনগণের অধিকার নিশ্চিত করেই আমরা নির্বাচন করেছি। বাংলাদেশের পুরো নির্বাচনের ইতিহাসটা দেখেন, সেই পঁচাত্তরের পর থেকে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, ৭৭ সালের হ্যাঁ/না ভোট থেকে যতগুলো নির্বাচন, প্রত্যেকটা নির্বাচনের যদি তুলনা করেন, তাহলে দেখবেন যে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারী নির্বাচন প্রত্যেক নির্বাচনের তুলনায় সবচেয়ে বেশি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চত করার নির্বাচন হয়েছে।
⎯⎯ হাসিনা, ০২ মে ২০২৪

ডিজিটাল বাংলাদেশ

আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের বদৌলতে প্রতিদিন অনলাইনে বসে আন্দোলন সংগ্রাম করেই যাচ্ছে, নির্দেশ দিয়েই যাচ্ছে।
⎯⎯ হাসিনা, ০২ মে ২০২৪