হাসিনার পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটক
August 11, 2024
রাজাকার শব্দের সূত্রপাত
১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন:
দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে আর মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরাও পাবে না। তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে? সেটা আমার প্রশ্ন, দেশবাসীর কাছেও প্রশ্ন, যে রাজাকারের নাতিপুরা সবকিছু পাবে, মুক্তিযোদ্ধারা পাবে না?
তিনি আরো বলেন:
কোটা আর মেধা তো একজিনিস না। তো এখানে দ্বন্ধ টা সৃষ্টি করা, এটা একটা ট্যাক্টিকস। তারমানে কি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতিপুরা কেউ মেধাবী না, যত রাজাকারের বাচ্চারা নাতিপুরা ওরা মেধাবী?
বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, নাতিপুরা আছে আবার রাজাকারদের সন্তান, নাতিপুতিরাও আছে। ১৬ কোটি মানুষের মাঝে এই দুই গ্রুপের কতজন আর বাকি মানুষ কতজন?
নাকি ১৬ কোটি মানুষের দেশের প্রধানমন্ত্রী বাকিদের ভুলে গেলেন? নাকি মুক্তিযোদ্ধাদের ছাড়া বাকিদের রাজাকারের কাতারে ফেলে দিলেন?
ছাত্রদের মিছিলে রাজাকার শব্দ
ছাত্রদের রাজাকার বলার প্রতিবাদে, ঐদিন রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্নস্থানে মিছিল হয়। এবং একটি স্লোগানে মুখরিত হয় মিছিল
তুমি কে, আমি কে? রাজাকার, রাজাকার
কিছু কিছু স্থানে স্লোগানটি এমন ছিল
তুমি কে, আমি কে? রাজাকার, রাজাকার। কে বলেছে, কে বলেছে? স্বৈরাচার, স্বৈরাচার
আরো একটি স্লোগান ছিল এরকম
চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার
স্পষ্টতই স্লোগানে রাজাকার শব্দের ব্যবহার আক্ষরিক অর্থে ছিল না বরং একই দিনে শেখ হাসিনার সংবাদসম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা ছাড়া বাকি সবাইকে রাজাকার বলার প্রেক্ষিতে
এই স্লোগানটি হয়েছিল।
কাদেরের হুমকি
পরদিন ১৫ জুলাই, ওবায়দুল কাদের স্লোগানের জন্য হুমকি দিয়ে বলেন
ছাত্র আন্দোলনের যে বক্তব্য কতিপয় নেতা যেটা রেখেছে—যারা তাদের আত্মস্বীকৃত রাজাকার, নিজেদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ মানসিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছে গত রাতে—তার জবাব ছাত্রলীগ দেবে।
ছাত্রলীগ সভাপতির হুমকি
১৫ তারিখ দুপুরে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজনৈতিকভাবে এটি (কোটা সংস্কার আন্দোলন) মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা আজও এই বাংলাদেশে থেকে ‘আমি রাজাকার’ বলার হিম্মত দেখায়, তাদের শেষ দেখিয়ে ছাড়বে ছাত্রলীগ।
ছাত্রদের উপর চড়াও
হুমকির পর দিনভর ছাত্রদের উপর চড়াও হয় ছাত্রলীগ। দিনভর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
দফায় দফায় হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ও মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী।
পুরো ছবি দেখতে ছবিতে ক্লিক করুন
মূল উৎসপরদিন ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ।
শেষ চিঠি
আমি রাজাকার বলিনি
https://mzamin.com/news.php?news=122315